কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি। শুক্রবার (১৪ মার্চ) স্থানীয় সময় গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন তিনি।
শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্ক কার্নি বলেন, কানাডা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না। এসময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ৫১তম অঙ্গরাজ্য বিষয়ক ধারণাকে ‘পাগলামি’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
শপথের পর গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে করমর্দন করেন কার্নি, পরে তারা ফটোসেশনে অংশ নেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ নথিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
কার্নির নতুন মন্ত্রিসভায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আন্তঃসরকার সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ডমিনিক লেব্লাঙ্ক, অর্থমন্ত্রী হিসেবে ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেইন এবং পরিবহন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড নিয়োগ পেয়েছেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভ্যন্তরীণ ও কূটনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন কার্নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে তার প্রশাসন বলে জানান তিনি।
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কানাডা কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হবে না।" মার্কো রুবিওর মন্তব্যকে ‘পাগলামি’ বলে আখ্যা দিলেও, বিভিন্ন কূটনৈতিক বিষয়ে সমঝোতায় আসতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
দীর্ঘ ৯ বছর পর কানাডার লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে পরিবর্তন এলো। নতুন নেতা বাছাই করতে গত রোববার ভোট দেন দলটির সদস্যরা, যেখানে কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, হাউস অব কমন্সে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হন, তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
মার্ক কার্নি ২০০৮ সালে ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৩ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ১২০তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। দীর্ঘ ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শেষে এবার তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন।